লক্ষীপুর প্রতিনিধি: মাইক্রোবাসে টেলিভিশন চ্যানেলের লোগো ব্যবহার করে সাংবাদিক সেজে লক্ষীপুরে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ পর্যবেক্ষণে এসে ধরা পড়ল চার প্রতারক। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে রামগতি উপজেলা গেস্ট হাউজ থেকে তাদের আটক করে পুলিশ। এ সময় তাদের ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস, ক্যামেরা, চার্জার, পেনড্রাইভ, বিজয় টিভির লোগো ও তিনটি ভুয়া আইডি কার্ড জব্দ করা হয়।
আটকদের মধ্যে রিয়াদ হোসেন (২৫) শরীয়তপুর জেলার দামুডা এলাকার বাসিন্দা মৃত মো. দুলাল হোসেনের ছেলে, সুমন রানা (২৯) নওগাঁ জেলার আতরাইল এলাকার বাসিন্দা আবদুল খালেক সরদারের ছেলে, ইব্রাহিম (২৫) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা এলাকার বাসিন্দা বাদল মিয়ার ছেলে এবং সাইফুল ইসলাম (২৫) নোয়াখালী জেলার পশ্চিম রাধারামপুর এলাকার বাসিন্দা রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে। বিজয় টিভির লক্ষীপুর জেলা প্রতিনিধি সোহেল মাহমুদ মিলন বাদী হয়ে রামগতি থানায় ৪ প্রতারকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বিজয় টিভির স্টাফ রিপোর্টার পরিচয় দিয়ে ওই চার প্রতারক রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে রামগতি উপজেলা গেস্ট হাউজে ওঠে। পরদিন একটি মাইক্রোবাসে বিজয় টিভির লোগো লাগিয়ে পুরো রামগতি শহর ঘুরে বেড়ান। এ সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন সরকারি অফিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তারা দেখা করেন। তারা সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ পর্যবেক্ষণ করে প্রতিবেদন করার জন্য ঢাকা থেকে এসেছেন বলে স্থানীয়দের পরিচয় দেন।
সন্ধ্যায় খবর পেয়ে বিজয় টিভির জেলা প্রতিনিধি সোহেল মাহমুদ মিলন তাদের সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। সাংবাদিক পরিচয়ধারী ৪ যুবক প্রতারক বলে তিনি নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশকে বিষয়টি জানান। পরে উপজেলা গেস্ট হাউজ থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটক ৪ যুবক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করে। তারা এর আগেও বিভিন্ন চ্যানেলের লোগো ব্যবহার করে একাধিক এলাকায় গিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিক পরিচয়ধারী ৪ প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস, ক্যামেরা, চার্জার, পেনড্রাইভ, বিজয় টিভির লোগো ও তিনটি ভুয়া আইডি কার্ড জব্দ করা হয়। মঙ্গলবার আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।